মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম করার উপায় | Make money blogging



আপনার যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকে, তাহলে আজকের লেখাটি পড়ার পর। আপনিও আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম ( Make money blogging with mobile phone ) করতে পারবেন৷ আমাদের মধ্যে অনেক বন্ধুরা আছেন।
যারা অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগ্রহ প্রকাশ করে। আবার অনেকেই আছেন পড়াশোনা করার পাশাপাশি অন্তত নিজের পকেট খরচ সংগ্রহ করার জন্য অনলাইনে কাজ করে আয় করতে চান। যারা অনলাইন থেকে আয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাদের জন্য আমার আজকের লেখা ব্লগিং করে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং লেখাতে যা যা থাকবে:

  • অনলাইন থেকে সত্যি কি ইনকাম করা সম্ভব?
  • মোবাইল দিয়ে ইনকাম কতটা সত্য?
  • বাংলাদেশ থেকে আয় করা কতটা সহজ?
  • কি কি উপায়ে ইনকাম করা যায়?
  • ব্লগিং করে ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো কি কি?
  • অনলাইন থেকে সত্যি কি ইনকাম করা সম্ভব?

অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় কি-না তা নিয়ে মানুষ সন্দেহ করতো আজ থেকে আরও একযুগ আগে। বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করা নয়। অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ নিজেদের বড় বড় বিজনেস ও ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করছে। যারা মূলত এখনও একযুগ পিছিয়ে আছেন, তারাই প্রশ্ন করে অনলাইন থেকে সত্যি ইনকাম করা যায় কি-না।
আশাকরি আপনাদের এটা বুঝাতে পেরেছি যে, সত্যি সত্যি অনলাইন থেকে আয় করা যায়। এটা কোন রুপকথার গল্প নয়।

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম কতটা সত্য? ( Make money blogging with mobile phone )

ইনকাম করা কতটা সত্য তা না বললেও অন্তত এটা আপনাদের বলবো। আমি নিজেও মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করছি। আমি আমার ইউটিউবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার গাইডলাইন ভিডিও গুলো দিয়ে থাকি। মূলত আমি এটাই প্রমাণ করতে চাই। ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই আপনি যেকোনো কাজ সহজে করতে পারেন। মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কোন সমস্যা নয়।
শুধুমাত্র আপনি এটা ঠিক করুণ যে, আপনি অবশ্যই নিজের খরচের টাকা নিজেই যোগান দিবেন। এবং তা যে কোনো উপায়ে করবেন বা আপনাকে করতেই হবে। তাহলে দেখবেন আপনাকে কাজ করতে হবে না। কাজ আপনাকে দিয়ে করিয়ে নিবে।

বাংলাদেশ থেকে আয় করা কতটা সহজ?

প্রথমে এটা বলে রাখি। আমি আজকে যে উপায় নিয়ে আলোচনা করবো তার মাধ্যমে আপনি যে দেশে থাকেন না কেন আপনি কাজ করতে পারবেন। এটি ভেজাল মুক্ত একটা উপায়।
এবার আসি বাংলাদেশ থেকে আয় করার বিষয়ে। এই প্রশ্ন যারা নতুন তারা কখনও করে না। কারণ তারা অনলাইন বলতে অনলাইনকেই চিনে। কিন্তু আপনি যেমন অনুমতি ছাড়া অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননা। ঠিক একইভাবে অনলাইনেও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।
এজন্য বাংলাদেশ থেকে সকল মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে আয় করা যায় না। এরকম যারা নতুন কাজ করতে আসেন, তারা পরে পেমেন্ট না পেয়ে অনলাইনের প্রতি খারাপ চিন্তা করতে শুরু করে।
কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। বাংলাদেশ থেকে আয় করা যায় এমন হাজার হাজার প্লাটফর্ম রয়েছে। যেগুলো আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। এবং আপনি বিদেশি অনেক প্লাটফর্মেও কাজ করতে পারবেন যদি আপনার দক্ষতা থাকে। এজন্য বিদেশি প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে দেশীয় প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করে নিজেকে ঝালাই করে নিতে হবে।

কি কি উপায়ে ইনকাম করা যায়?

এবার চলুন আমরা জেনে নিই। কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। অনলাইনে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। আমি যদি সবগুলো উপায় নিয়ে এই পোস্টে লেখি, তাহলে দুয়েকমাস হলেও আমার লেখা শেষ হবে না। তাই আজকে এখানে আমি এমন একটি উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো মূলত প্রফেশনাল কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়৷
মানে যারা অনলাইন থেকে আজীবন অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করেন। মূলত তারাই এই উপায়টি দিয়ে কাজ করে৷ এবং এই উপায়টির মাধ্যমেও মোবাইল দিয়ে কাজ করা সম্ভব।

উপায়টি হচ্ছে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করার মাধ্যমে আয় করা:

ব্লগ লেখার মাধ্যমে আয় করা সবচেয়ে সহজ উপায়। আপনার যদি কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে৷ তাও আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগ ওয়েবসাইটে লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় করার আপনার সুন্দর লেখার দক্ষতা ও ইচ্ছা থাকলে আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে ব্লগিং করে সফলতার সাথে কাজ করে ইনকাম করছে।
ফ্রি প্লাটফর্ম:

আপনার যদি ওয়েবসাইট করার জন্য যথেষ্ট টাকা না থাকে। তাহলে আপনি ফ্রি-তে একটা ব্লগ ওয়েবসাইট করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। ফ্রি-তে ওয়েবসাইট করার জন্য অনেক গুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। যারা আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি-তে একটা ওয়েবসাইট করতে দেয়।
এখানে অনেকগুলো ফ্রি প্লাটফর্মের তালিকা দেওয়া আছে। ফ্রি প্লাটফর্মের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক হচ্ছে ব্লগার। ব্লগার হচ্ছে গুগলের নিজস্ব প্লাটফর্ম। সুতরাং আপনি যদি ফ্রি-তে কাজ করেন। তাহলে ব্লগারকে পছন্দ করতে পারেন।
প্রিমিয়াম বা পেইড প্লাটফর্ম:

আপনার যদি ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা ইনভেস্ট করার ক্ষমতা থাকে। তাহলে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি অবশ্যই একটি প্রিমিয়াম ব্লগ ওয়েবসাইট করে ফেলুন। কেননা প্রিমিয়াম ব্লগের ক্ষেত্রে আপনি অনেকগুলো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আপনি নিজে নিজে যদি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন৷ তাহলে আপনি মাত্র ১০০০ টাকা বা তার থেকেও কম টাকা দিয়ে একটা প্রিমিয়াম হোস্টিং নিয়ে আপনার স্বপ্নের ব্লগটি তৈরি করতে পারেন।
আপনার বাজেট যদি খুবই কম হয়, তাহলে আপনি Namecheap থেকে ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ডোমেইন ও হোস্টিং নিতে পারেন। বাজেট বেশি হলে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং নিতে পারেন। বিদেশি কোম্পানি গুলোতে Namecheap, HostGator, BlueHost আমার ভালো লাগে।
 

 ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে ও ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা:

একটা ওয়েবসাইট বর্তমানে খুবই দামি একটা সম্পদ। আজকের লেখাতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা নিয়ে আলোচনা করবো। কারণ, একটা সাইট করার আগে এসব বিষয়ে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন আছে। ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা – Website Requirements
বর্তমান সময়ে একটা ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। একটা ভালো ওয়েবসাইট আপনার অর্থনৈতিক জীবন পরিবর্তন করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে৷ আপনি যদি একটু বর্তমান বিশ্বসেরা ধনীদের লক্ষ্য করে দেখেন। সহজে বুঝবেন কেন একটা সাইট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাজন, আলিবাবা, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি হচ্ছে দৃষ্টান্ত উদাহরণ। এদের জীবন পরিবর্তন করার জন্য একটা ওয়েবসাইট বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ঠিক আপনাও জীবন পরিবর্তন করতে একটা ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।।।
অনলাইন স্টোর:

আমাজন ও আলিবাবা হচ্ছে বিশ্বের বহুল পরিচিত দুটি জনপ্রিয় অনলাইন স্টোর। আসলে বর্তমানে এদের স্টোর বলাটা ভুল হবে। বিশ্বাসের সবকিছুই পাইকারি ও খুচরো দামে পাওয়া যায় এসকল অনলাইন স্টোরে। সুতরাং বলা যায় এগুলো হচ্ছে একেক মার্কেট বা বাজার।
সোস্যাল মিডিয়া কমিউনিটি –
ফেসবুক, টুইটার,
ইউটিউব ইত্যাদি সাইটগুলো হচ্ছে বাস্তব উদাহরণ। বর্তমানে এসকল সাইটের উপর নির্ভর করে হাজার হাজার পরিবার তাদের পরিবারের প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করছেন।বাংলাদেশে ফেসবুক ও ইউটিউব কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হলে হাজার হাজার পরিবার অর্থ সংকটের সম্মুখীন হবেন। এটা শুধু বাংলাদেশ না। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের মধ্যে এমন অনেকগুলো পরিবার এগুলোর উপর নির্ভর করে থাকে।
এর মূল কারণ হচ্ছে। এরা অনলাইনে বিজনেস করে। ব্যবসা করার জন্য এসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তারা তাদের পণ্য ও সেবার প্রচার করেন এবং বিক্রি করেন। যদি কোনো কারণে এসব প্লাটফর্ম বন্ধ হয়ে যায়। পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে যাবে। এজন্যই আমাদের সবার জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন।
আমার সাইট কি আমাজন ও ইউটিউবের মতো হতে পারবে?

কেন হতে পারবে না? অবশ্যই হতে পারবেন। আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। আমাজন, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি সাইটগুলোর বর্তমান মূল্য অনেক। আমি যদি একটা ৫ হাজার টাকা খরচ করে সাইট করি। তার মূল্য কি আর এদের মতো হবে? আসলে এমন চিন্তা আপনার জন্য নেগেটিভ বিষয় নিয়ে আসবে।
আপনাকে পজিটিভ চিন্তা করতে হবে। এরাও যখন তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল। তখন তার মূল্য ছিল ৫ হাজার টাকার। কিন্তু এখন গিয়ে যদি আপনি বলেন, আমাকে ৫ হাজার মিলিয়ন ডলার দিয়ে আমাজন বিক্রি করে দেন। আপনার কি মনে হয় বিক্রি করে দেবে! 🤔
না। কখনও বিক্রি করবে না। কারণ, তারা বর্তমানে প্রতিমাসে তার থেকে বেশি টাকার
ব্যবসা করছে। তাদের এতো সফলতা একদিনে আসেনি। এর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেক দিন। যত ভালো কাজ করবেন, ততই আপনার পজিশন উন্নত হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?
চলুন, এবার বহুল অপেক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই। সাধারণত ডোমেইন, হোস্টিং ও থিম।এই ৩টি মৌলিক উপাদান থাকলে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তবে আপনার বিজনেসের ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টুলসের প্রয়োজন হতে পারে।
ডোমেইন কি?
ডোমেইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের নাম ও এড্রেস। যেমন bdbloq হচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইটের নাম। যখন কেউ আমাদের সাইটে ভিজিট করতে চাই। তখন তিনি আমাদের সাইটের নাম লিখে সার্চ করে। এবং
bdbloq.com এড্রেসের মাধ্যমে আমাদের সাইটে ভিজিট করে।
ডোমেইনের সাথে একটা এক্সটেনশন থাকে। এটা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন- .com .net .org .info ইত্যাদি। এক্সটেনশন অনুযায়ী ডোমেইনের মূল্য বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এবং এদের নির্দিষ্ট কিছু অর্থ রয়েছে। এজন্য বিভিন্নরকম ডোমেইন পাওয়া যায়।
হোস্টিং – ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
সাইটের সকল ডাটা জমা রাখার জন্য একটা হোস্টিং প্রয়োজন হয়। হোস্টিং হচ্ছে মেমোরি কার্ডের মতো একটা জায়গা। সেখানে ওয়েবসাইটে আপলোড করা টেক্সট, ছবি, ভিডিও, অডিও সহ অন্যান্য সকল তথ্য জমা রাখা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে হোস্টিংয়ের ডাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা হ্যাক হতে পারে। এজন্য প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটা সিকিউর ব্যাকআপ গুরুত্বপূর্ণ। হোস্টিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কোম্পানি বাঁচাই করা প্রধান কাজ। যেকোনো কোম্পানির হোস্টিং সেবা ব্যবহার করলে পরবর্তী বিভিন্ন সমস্যা দেখা যেতে পারে।
যেমন- হ্যাক হওয়া, ডাটা ডিলিট হয়ে যাওয়া, তথ্য চুরি, সাইটের স্পীড কম, ইত্যাদি।
বিশ্বস্ত ও মানে উন্নত কিছু ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি –

Name cheap: কম বাজেটের মধ্যে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য নেমচিপের ডোমেইন হোস্টিং সেবা খুবই ভালো। আমি নিজেও আমার প্রথম ওয়েবসাইট নেমচিপে হোস্ট করেছিলাম। বর্তমানেও অনেকগুলো সাইট নেমচিপে হোস্ট করা।
নতুনদের জন্য অত্যেন্ত ভালো একটা ডোমেইন হোস্টিং সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। নেমচিপ সবার কাছে জনপ্রিয় হওয়ার একমাত্র সিক্রেট হচ্ছে। কম বাজেটে সেরা সার্ভিস প্রদান করতে সক্ষম। সাপোর্টের বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে সেরা বলতে পারি। আমি অনেক সময় একটা ৪ ঘন্টার বেশি সাপোর্ট নিয়েছি৷
 

কিভাবে হবেন একজন ভালাে মানের কনটেন্ট রাইটার

অনলাইন দুনিয়ায় ওয়েবসাইটের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলায় প্রয়োজন হচ্ছে ভালো মানের কনটেন্টের। আর এই ভালো মানের কনটেন্টের জন্য দরকার পরছে ভালো মানের কনটেন্ট রাইটারের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও বিষয়টা ভিন্ন নয়। এমন ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে, যারা তাদের সাইটের জন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ মানের কনটেন্ট রাইটার খুঁজছেন।।

বর্তমান ফ্রীল্যান্সিং এর চাহিদার সাথে মিল রেখে আজ কোর্সটিকায় আমরা আলোচনা করবো কীভাবে একজন দক্ষ ও সফল কনটেন্ট রাইটার হওয়া যায়। আর এজন্য টিম কোর্সটিকা যোগাযোগ করেছিল বাংলাদেশের একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার মোঃসুমন মিয়া (আইসিটি বিশেষজ্ঞ)কনটেন্ট রাইটিং সেক্টরে তার উত্থান এবং পথচলা নিয়ে আমরা বিশদ আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
বলছিলেন  মোঃসুমন মিয়া (আইসিটি বিশেষজ্ঞ) 

 তাকে দিয়ে ভীষণ অমানুষিক পরিশ্রম করানো হতো। আর সেই তুলনায় খুবই হাস্যকর বেতন দেওয়া হত। ব্যপারটা তখন বুঝতে না পারলেও এখন তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। অফিসে তার কোন ট্রেইনার ছিল না। এমনকি কনটেন্ট রাইটারও ছিলেন তিনি একাই। তাকে নিত্য-নতুন টপিক দেয়া হতো এবং তাকে প্রচুর পরিমাণে লিখতে হতো। তিনি প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০০ শব্দ লিখতেন।
 নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন তিনি। একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে হলে প্রথমত আপনার লেখার আগ্রহ থাকতে হবে এবং প্রচুর পড়তে হবে। যত পড়বেন তত বেশী ভাল লেখক হয়ে উঠতে পারবেন। এর বিকল্প নেই। তবে আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিংকে সাহিত্য মনে করেন, আর লাফ দিয়ে আসেন, যে হ্যাঁ কনটেন্ট লিখবো, এটাই আমার স্বপ্ন! তাহলে, একটু দাঁড়ান। এখানে আপনার সাহিত্যিক কিংবা কবি মনকে খুব একটা গোণায় ধরা হবে না। একটা সূচনা আপনি হয়তো মনের মাধুরী মিশিয়ে চমৎকার লিখেছেন। আপনার ক্লায়েন্ট সেটাকে নির্দয়ের মতো ফেলে দেবে। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গুগলে র‍্যাংক করা। আপনার সাহিত্য তাদের কাছে ম্যাটার করে না 

আপনার নিজের লেখার ব্যাপারে আপনি স্বাধীন। তবে যদি সেটা অন্যের জন্য লেখা হয় তখন আপনাকে একটা কীওয়ার্ড সহকারে সূচনা লিখতে হবে। একটা সাব হেডিং দিতে হবে। প্রাসঙ্গিক কিছু পয়েন্ট তৈরি করতে হবে এবং শেষে ক্লায়েন্টের ইচ্ছে অনুযায়ী একটা উপসংহার দিতে হবে।
আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং শুরু করতে চান, তবে ব্লগিং একটা চমৎকার জায়গা। ব্লগারে একটা ফ্রি ব্লগ করে ফেলুন। আপনার জানা একটা বিষয়বস্তু ঠিক করুন। ৩০ টি টাইটেল ঠিক করুন। ভালমতো রিসার্চ করে ৩০ দিনে ৩০ টি কনটেন্ট লিখুন। এবার প্রথম কনটেন্টের সাথে ৩০ নম্বর কনটেন্ট মিলিয়ে দেখুন। ম্যাজিক! আপনি কনটেন্ট রাইটার হয়ে গিয়েছেন। ৩০ টি কন্টেন্ট লিখতে আপনার আরো অন্তত ৩০০ টি কনটেন্ট পড়তে হয়েছে। আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই হয়ে উঠছেন একজন চমৎকার কনটেন্ট রাইটার। এখন যত দিন যাবে, আপনি যত পড়বেন আর লিখবেন তত ভাল হয়ে উঠবেন।


আপনার কনটেন্টকে কিভাবে সাজাবেন?

কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আনিসুর রশিদ দিপু নিজের কিছু কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি তার পুরো কনটেন্টকে বিশেষ কিছু ফরমেটে ভাগ করেন। নতুন হয়ে থাকলে এভাবে আপনার ব্লগে লিখে প্র্যাকটিস করতে পারেন।

প্রথমত সূচনা অংশ: আপনার লেখা কনটেন্টের সূচনা বা ভূমিকা ১, ২ অথবা ৩ টি প্যারাগ্রাফে হতে পারে। প্রতিটি প্যারাগ্রাফ হবে তিন-চার লাইন। সব মিলিয়ে আপনার সূচনা ১০০ বা ২০০ শব্দের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করুন। আপনার টাইটেলটি প্রথম প্যারাগ্রাফে ব্যবহারের চেষ্টা করুন। যদি কাওয়ার্ড বুঝে থাকেন তবে কিওয়ার্ডটা ব্যবহারের চেষ্টা করুন। আপনার টাইটেলই যদি কিওয়ার্ড হয়ে থাকে তবে টাইটেলই ব্যবহার করুন।

দ্বিতীয়ত সাবটাইটেল অংশ: প্রথম ও দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফে ১০০-১৫০ শব্দ লিখতে পারেন। একবার কিওয়ার্ড ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারেন। এই অংশটি হচ্ছে মূল আলোচনা শুরুর আগের অংশ। অর্থাৎ এরপর আপনি মূল আলোচনায় যাবেন।

মূল বডি অংশ: এখানে কয়েকটি পয়েন্ট বা টাইটেল করে আলোচনা করতে পারেন। সাধারণত ক্লাইন্টরা এমনই চায়। ধরুন, এখানে ৫ টি পয়েন্ট দিলেন। এবার শুরু করতে পারেন বিস্তারিত আলোচনা। ৫ টি পয়েন্টে আপনি যত ইচ্ছে লিখুন। তবে অনুচ্ছেদ ভাগ ভাগ করে লিখতে চেষ্টা করবেন। মনে করুন, আপনার প্রথম পয়েন্টে আপনি লিখবেন ৫০০ শব্দ। সেক্ষেত্রে প্রতিটি পয়েন্ট ৫ টি অনুচ্ছেদে বিভক্ত করে লেখার চেষ্টা করুন। ছোট ছোট অনুচ্ছেদ এবং বাক্য পড়তে সুবিধা হয় পাঠকের।

শেষে উপসংহার অংশ: এখানে আপনি ১০০ থেকে ৩০০ শব্দের মধ্যে ১ থেকে ৩ অনুচ্ছেদে এতক্ষণের আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি উপসংহার দিতে পারেন। চেষ্টা করবেন এখানেও একবার কীওয়ার্ড ব্যবহার করার।

আপনি চাইলে এই ফরমেটগুলো নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে প্যারাগ্রাফ করে পয়েন্ট করে প্র্যাকটিস করুন। আশা করি ৩০ নম্বর কন্টেন্ট লেখার পর আপনি নিজেই পরিবর্তনটা ধরতে পারবেন।

কাজ কীভাবে পাবেন?

কাজ পাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে পোর্টফোলিও সাবমিট করতে পারেন। ইচ্ছে করলে ফাইভারেও গিগ তৈরি করতে পারেন। তবে সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে খুব কম রেসপন্স পাবেন। তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কাজ পাওয়ার জন্য আপনি অনেক ফেসবুক গ্রুপ পাবেন। সেখানে নিয়মিত চেষ্টা করতে থাকুন। আপনার ব্লগেও লিখতে থাকুন। এই ব্লগে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আসতে পারে। এছাড়া এটা আপনার পরিচিতিও বটে।

সবশেষে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, ভাষার জ্ঞান আবশ্যিক। যে ভাষাতেই লিখবেন তা যেন সুন্দর ও সহজবোধ্য হয়। এ কারণে একটা কনটেন্ট লিখতে আপনাকে আপনাকে প্রচুর পড়তে হবে এবং রিসার্চ করতে হবে। আর তখন নিজেই বুঝে যাবেন কোন লেখাটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে। অনলাইনে যাদের লেখা আপনার ভালো লাগবে সেই লেখকের লেখা অনুসরণ করুন। যে বিষয় নিয়ে লিখতে চান, সে সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখুন। আপনার সাফল্য নিশ্চিত।


 

   ইমেইল মার্কেটিং করতে চান? এখানে জানুন সব কিছু 

 
ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থার আরেক সংস্করণ ইমেইল মার্কেটিং। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর পাশাপাশি বাংলাদেশে এই মার্কেটিং কৌশলটিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বলাই বাহুল্য যে, বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশে আরো অনেক আগে থেকেই ইমেইল মার্কেটিং খুব সফল মার্কেটিং কৌশল হিসেবে বিবেচিত। 
আজকের এই পোস্টে আমরা খুব সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো ইমেইল মার্কেটিং এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এই লেখাটি সম্পূর্ণ অনুসরণ করলে আপনিও ইমেইল মার্কেটিং এ বেশ দক্ষতা অর্জন করবেন বলে আশা রাখি। 

ইমেইল মার্কেটিং কি? 

বিজ্ঞাপনের জগতে সবচেয়ে সহজ, সস্তা এবং কম সময়ে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সবথেকে কার্যকারী পদ্ধতি হল ইমেইল মার্কেটিং। আপনি কি বিক্রি করছেন বা কি সার্ভিস দিচ্ছেন, সেটা কোন বিষয় নয়। এক ক্লিকেই আপনার পণ্য বা সার্ভিসটি সম্ভাব্য হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন এই ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। 
ইমেইল মার্কেটিং ব্যবস্থায় একজন মার্কেটার সাধারণত গ্রাহকদের একটিভ ইমেইলগুলো বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করে থাকে। পরবর্তীতে তাদের টার্গেট করে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন তাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এর ফলে খুব সহজে এবং অনেক কম খরচে পণ্যের বিজ্ঞাপন গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। 

কেন করবেন ইমেইল -মার্কেটিং? 

শুরুতেই বলেছিলাম, আধুনিক ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থার অন্যতম সংযোজন হচ্ছে এই ইমেইল মার্কেটিং। একজন ব্যক্তি অফিসে থাকুক, বাসায় থাকুক অথবা ভ্রমণরত অবস্থায় থাকুক সে মেইল পড়তে পারে। সুতরাং আপনি আপনার বিজ্ঞাপনটি খুব সহজেই তার কাছে পাঠাতে পারবেন 
একটি গবেষণায় দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য মার্কেটিং ব্যবস্থায় বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার থেকে ইমেইল মার্কেটিং এ প্রতিটি বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিকের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেশি। কিছু পরিসংখান দেখলেই আমরা বুঝতে পারবো কেন আমরা ইমেইল মার্কেটিংকে এত গুরুত্ব দেব। 
 
 

কিভাবে করবেন ইমেইল মার্কেটিং? 

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য প্রথমেই আপনার লাগবে মেইল লিস্ট। তো কাজটি আপনি করতে পারেন গ্রাহকদের মেইল কিনে। অথবা নিজেই আপনার সার্ভিস নিতে আগ্রহী এমন গ্রাহকের মেইল সংগ্রহ করতে পারেন। নিচের ধারাবাহিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনিও পারেন ইমেইল মার্কেটিং করতে।
আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন: প্রথমেই ঠিক করুন আপনি কি করতে চান? আপনি কি আপনার পণ্যের বিক্রি বাড়াতে চান? আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষকে জানাতে চান? নাকি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে চান?
ইমেইল মার্কেটিং প্রোভাইডার নির্বাচন করুন: আপনি কোন ইমেইল ক্লায়েন্ট থেকে হাজার হাজার মেইল পাঠাতে পারবেন না। তাই আপনাকে কোন ইমেইল মার্কেটিং প্রোভাইডারের সাহায্য নিতে হবে। সেক্ষেত্রে Mailchimp, AWeber  অথবা Getresponse এগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।
শুরুকরুনলিস্টবিল্ডিং: ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে লিস্ট বিল্ড আপ করা। লিস্ট বিল্ডের সময় নিচের বিষয় গুলো খেয়াল রাখুন
গ্রাহককেজানান, মেইলটিদিলেসেকিসুবিধাপাবে।
§  আপনি তাকে স্প্যাম করবেন না।
§  আপনি কতবার তাকে মেইল পাঠাবেন।
§  আপনি তার গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করবেন না।
§  আপনি তাকে কি কি ডিস্কাউন্ট দিবেন।
§  তার মেইলটি আপনার কাছে নিরাপদ।
ইমেইল সাবজেক্ট এবং টেম্পলেট: গ্রহককে ইমেইল পাঠানোর আগে অবশ্যই আর্কষণীয় একটিসাবজেক্ট দিন। প্রয়োজন হলে অন্তত ২০ মিনিট সময় নিন সাবজেক্ট লিখতে। কারণ, আপনার সাবজেক্ট যত আকর্ষণীয় এবং লোভনীয় হবে, আপনার ইমেইলের ওপর ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেরে যাবে।
এরপর রিসার্চ করুন গ্রাহক আসলেই কি ধরনের অফার নিতে চায়। কারণ, গ্রাহক দুই সেকেন্ডেই সিদ্ধান্ত নিবে সে আপনার মেইলটি খুলবে কি খুলবে না। একটি ভাল টেম্পলেট বাছাই করুন এবং সেখানে আপনার অফার সম্পর্কে কিছু তথ্য দিন।
মেইল সংখ্যা নির্ধারণ করুন: আপনি আপনার গ্রাহককে কতবার মেইল পাঠাতে চান তা নির্বাচন করুন। আপনি কি প্রতিদিন, সাপ্তাহিক নাকি মাসে একবার মেইল পাঠাতে চান তা ঠিক করে নিন।
পর্যবেক্ষণ করুন: এই ধাপেই আপনার আসল কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে। এখানে দেখতে হবে আপনার মেইলের সাবজেক্ট ঠিক আছে কিনা, মেইল পাঠানোর টাইমিং, ছবি অথবা ছবি ছাড়া মেইল, মেইল কি ইনবক্সে প্রবেশ করছে নাকি স্প্যামে যাচ্ছে।
এখান থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার গ্রাহকরা মেইল কি ফ্রিকোয়েন্সিতে পেতে চাচ্ছে। প্রথম মেইলে যে ভুলগুলো হয়েছে, পরবর্তী মেইলগুলোতে সেগুলো সংশোধন করুন।
মেইল কালেকশন চালু রাখুন: মার্কেটিং একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই আপনাকে পুরাতন গ্রাহকের সাথে সাথে নতুন গ্রাহকের দিকেও মনযোগ দিতে হবে। তাই ল্যান্ডিং পেজ, সার্ভে টুল, পপ আপ প্লাগিন, ফেসবুক ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে মেইল সংগ্রহ করুন। 
 



ই কমার্স বলতে কি বুঝ ও ই-ব্যবসার প্রকার এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
ই কমার্স বলতে কি বুঝ এবং ই-কমার্স ব্যবসার প্রকার ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। ইকমার্স, যা ইলেকট্রনিক বাণিজ্য বা ইন্টারনেট বাণিজ্য নামেও পরিচিত। ইন্টারনেট ব্যবহার করে  যেসকল পণ্য বা পরিষেবাদি ক্রয় এবং বিক্রয় করা হয়। অনলাইন ভিত্তিক সেই সকল লেনদেন কার্যকর করার জন্য অর্থ এবং ডেটা স্থানান্তরকে বোঝায়। ইকমার্স প্রায়শই অনলাইনে শারীরিক পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে যেকোনো ধরণের বাণিজ্যিক লেনদেনকেও বুঝায়। 
বাংলাদেশের যখন ইন্টারনেটের গতির থ্রিজি-তে কনভার্ট করা হয়। তখন থেকে ই কমার্স সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণ ধীরে ধীরে জাগতে থাকে। এবং ই-কমার্স কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে মানুষ আগ্রহী হতে শুরু করে। বাংলাদেশের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠার হচ্ছে দারাজ। যদিও বর্তমানে অনেকগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা বাংলাদেশের  ক্রেতাদেরকে অনলাইন থেকে শপিং করার জন্য পরিপূর্ণ সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছেন।

ই কমার্স কি?

একবাক্যে ইকমার্স বিশেষত অনলাইনে পণ্য এবং পরিষেবার লেনদেনকে বোঝায়। যদি আর একটু বিশদ ভাবে বলতে চাই,  তাহলে একটি সংজ্ঞা বলতে পারি। মোবাইল, ল্যাপটপ ও  কম্পিউটার সহ যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে  অনলাইন থেকে কোন কিছু ক্রয় করা ও বিক্রয় করার পরিপূর্ণ প্রক্রিয়াকে ই-কমার্স বলে। 

ই কমার্স এর ইতিহাস প্রথম যে অনলাইন বিক্রয় দিয়ে শুরু হয়:

১১ ই আগস্ট, ১৯৯৪-এ একজন আমেরিকান খুচরা বিক্রেতা হিসেবে তার ওয়েবসাইট NetMarket দ্বারা তার বন্ধুর কাছে একটি সিডি বিক্রি করেছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব “বা” ইকমার্স “এর মাধ্যমে কোনো গ্রাহক কোনো অনলাইন ব্যবসায়ী থেকে পণ্য কেনার এটি প্রথম উদাহরণ। মূলত এখান থেকেই মানুষ বুঝতে পারে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রয় করা সম্ভব। তখন থেকেই এই আইডিয়াটি বাস্তবায়ন করে আসছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোক্তারা। 
ফলে তার পর থেকে, অনলাইন খুচরা বিক্রেতা এবং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করা সহজ করার জন্য ইকমার্স বিকশিত হয়েছে। স্বতন্ত্র ফ্রিল্যান্সার্স, ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বৃহত্তর কর্পোরেশনগুলো সকলেই ইকমার্স থেকে উপকৃত হয়েছে। যা তাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলো এমন একটি স্কেলে বিক্রয় করতে সক্ষম করে। যা ঐতিহ্যবাহী অফলাইন খুচরা মাধ্যমে সম্ভব ছিল না।

ই কমার্স কি ও ই-কমার্সের প্রকার এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

২০২১ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী খুচরা ইকমার্স বিক্রয় $৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এই ধরনের এটাকে আরো বেশি তে  বৃদ্ধি করতে পারেন। করোনার মত এমন পরিস্থিতি মানুষকে ঘরে বসে যে কোনো পণ্য বা সেবা সংগ্রহ করার জন্য  আগ্রহী করে তুলেছে। মানুষ বর্তমানে ঘরে বসে যে কোন খাবার অর্ডার করতে পারতেছে। এবং প্রয়োজনীয় যেকোনো পণ্য সংগ্রহ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
 

ইকমার্স মডেলগুলোর প্রকারসমূহ:
চারটি প্রধান ধরণের ইকমার্স মডেল রয়েছে। যা গ্রাহক এবং ব্যবসায়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রায় প্রতিটি লেনদেনের বর্ণনা দিতে পারে।

০১. বিজনেস টু কাস্টমার (B2C):

একজন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোনো ক্রেতা খুচরো পণ্য ক্রয় করলে, তাকে বিজনেস টু কাস্টমার বা B2C বলে। হঠাৎ এক্ষেত্রে একজন ছোট ব্যবসায়ী কে  বুঝানো হয়েছে। যখন করো ছোট ব্যবসায়ী তার পণ্যগুলো বা সেবাগুলো বিক্রয় করেন,  তখন কোনো ক্রেতা খুচরা দামে উক্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে থাকে। ব্যবসার এ পদ্ধতিকে বিজনেস টু কাস্টমার বলা হয়ে থাকে।

০২. বিজনেস টু বিজনেস (B2B):

কোনো ব্যবসায়ী অন্যকোন ব্যবসায়ীর সাথে পণ্য বা সেবা নিয়ে আর্থিক লেনদেন করলে, তাকে বিজনেস টু বিজনেস বলে। পাইকারি মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখা যায় কোন ব্যবসায়ী তার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে। এবং অন্য এক ব্যবসায়ীকে তা ক্রয় করে কাস্টমারদের হাতে পৌঁছানোর জন্য সংগ্রহ করে থাকে। অর্থাৎ যখন একজন ব্যবসায়ী থেকে অন্য ব্যবসায় পণ্য ক্রয় করে থাকে, তখন এই প্রক্রিয়াটিকে বিজনেস টু বিজনেস বলা হয়।

০৩. কাস্টমার টু কাস্টমার (C2C):

যখন কোনো কাস্টমার অন্য কোনো কাস্টমারের কাছে পণ্য বা সার্ভিস সেল করে, তখন তাকে কাস্টমার টু কাস্টমার বলে।  অনেক সময়  কাস্টমার তার বাড়িতে পরিত্যক্ত বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস অন্য একজন কাস্টোমার কেয়ার বিক্রি করে। যেমন- একজন  কাস্টমারের কাছে একটি পুরনো টেবিল রয়েছে। যখন উক্ত টেবিলটি অন্য একজন কাস্টমারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়, তখন এই প্রক্রিয়াটিকে  কাস্টমার টু কাস্টমার বলা হয়।

কাস্টমার কাস্টমার ব্যবসার লেনদেনগুলো সাধারণত সোশ্যাল ওয়েবসাইট ও কমিউনিটি ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। যেমন: bikroy বা olx এর মাধ্যমে গ্রাহক তার পণ্য অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে।

০৪. কাস্টমার টু বিজনেস (C2B):

যখন কোনো কাস্টমার একজন ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানকে পণ্য বিক্রি করে, তখন তাকে কাস্টমার টু বিজনেস বলে। মনে করেন, একজন কাস্টমারের কাছে অনেকগুলো পণ্য জমা হয়ে গেছে। অতঃপর কাস্টমারের ক্রয় কৃত পণ্যগুলোর বর্তমানে প্রয়োজনীয়তা নেই। এক্ষেত্রে কাস্টমার তার পণ্য সমূহ অন্য একজন ব্যবসায়ীর কাছে পুনরায় বিক্রি করে দেন। কাস্টমার এর কাছ থেকে  কোন ব্যবসায়ী পুনরায় পণ্য ক্রয় করার এই সিস্টেমটিকে  কাস্টমার টু বিজনেস বলা হয়।

ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে ই-কমার্সে বিভিন্ন রকমের বিক্রয় সম্পাদিত হয়:

০১. খুচরা:

কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই সরাসরি কোনও গ্রাহকের কাছে ব্যবসায়ের দ্বারা পণ্য বিক্রয়।  আমরা আমাদের আলোচনাতে  একটু আগে এটা আপনাদেরকে বুঝাতে চেয়েছি যে, খুচরা বিক্রেতা হচ্ছে ওই বিক্রেতা। যিনি  পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সরাসরি কাস্টমারদের কে বিক্রি করে। অর্থাৎ একজন ছোট ব্যবসায়ী কাছ থেকে যখন একজন কাস্টোমার সরাসরি পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন তখন তাকেই খুচরা বিক্রয় পদ্ধতি বলা হয়।

০২. পাইকারী:

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুচরা ব্যাবসায়ীরা বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাইকারীতে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে। এরা পাইকারিতে ক্রয় করে আবার সামান্য মুনাফা রেখে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে। মূলত এদের পাইকারী ক্রেতা বলে।

০৩. ড্রপশিপিং:

একটি পণ্য বিক্রয় করতে, উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান যখন তৃতীয় পক্ষের দ্বারা গ্রাহকের কাছে পণ্য প্রেরণ করেন, তখন তাকে ড্রপশিপিং বলে। ড্রপ শিপিং নিয়ে আমাদের পিডি ব্লগে ইতিমধ্যেই কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে। ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা যেটা ঘরে বসে যে কেউ করতে পারে। আপনিও যদি একজন ড্রপ শিপার হয়ে ব্যবসা করতে চান অনলাইনের মাধ্যমে, তাহলে আজ থেকে আপনি ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

০৪. ক্রাউডফান্ডিং:

কোনো পণ্য বাজারে আনতে প্রয়োজনীয় স্টার্টআপ মূলধন বাড়ানোর জন্য আগেই ভোক্তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। তারপরে পণ্য বাজারে আনা হয় এবং ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে ক্রাউডফান্ডিং বলে।

০৫. সাবস্ক্রিপশন:

গ্রাহক বাতিল না করা পর্যন্ত নিয়মিত ভিত্তিতে কোনও পণ্য বা পরিষেবার স্বয়ংক্রিয় পুনরাবৃত্তি ক্রয় ও বিক্রয় কে সাবস্ক্রিপশন বলে। আপনি যখন অনলাইনে কোন কিছুতে সাবস্ক্রাইব করবেন যেমন ভিডিও গেম খেলা,  অনলাইনে প্রিমিয়াম ভিডিও দেখা,  বা কোন অনলাইন টুলস ব্যবহারের জন্য  ক্রয় করা,  ইত্যাদি সাবস্ক্রিপশন রিলেটেড ব্যবসা বলা হয়।

০৬. ফিজিক্যাল পণ্য:

স্পর্শ করা যায় এমন পণ্য গ্রাহক অর্ডার করার পরে যা ডেলিভারি করতে হয়।

০৭. ডিজিটাল পণ্য:

ডাউনলোডযোগ্য ডিজিটাল পণ্য, টেম্পলেট এবং কোর্স ইত্যাদি। যা অবশ্যই ব্যবহারের জন্য ক্রয় করা হয় বা ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স করা হয়।

০৮. সেবা:

দক্ষতা বা নিজের অভিজ্ঞতা অন্যের কাজে ব্যবহার করে সমাধান বিক্রি করা।

ই কমার্স বলতে কি বুঝ ও ই-কমার্স ইতিহাসের সমাপ্তি:

আশাকরি, আমি আজকের আপনাদের ই-কমার্স পরিচিতি ও ই-কমার্স ইতিহাসের সামান্য নিখুঁত ধারণা দিতে পেরেছি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ই-কমার্সের বিভিন্ন প্রকার নিয়েও আলোচনা করেছি। যা আপনাদের সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস রাখি।

লিখার ক্ষেত্রে আমাদের আর্টিকেলে অনেক ক্ষেত্রে বানানের ভুল হতে পারে অথবা আমাদের বুঝার অনেকগুলো ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের ভুলগুলোকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং তা সংশোধন করার জন্য আমাদেরকে সাহায্য করবেন। আমাদের আর্টিকেল পড়ার পরে আর্টিকেল সম্পর্কে একটা কমেন্ট আমাদেরকে করতে ভুলবেন। আপনাদের কমেন্ট গুলো আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 


 
 ওয়ার্ডে লাইন গুলি আঁকুন 

My work is my purpose, my driving force. It's the reason I get up every day and do what I do. Most importantly, it keeps pushing me to achieve bigger and better things with each new challenge.

successivebd

International

I have read and understood the Privacy Policy.

গুগলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় খুঁজে খুঁজে যারা হয়রান, আজ সাকসেসিভ টেকনোলজি তাদের জন্য দারুণ একটি পোস্ট হতে চলছে। আজ আমরা কোর্সটিকায় আলোচনা করবো, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সবগুলো উপায়। পাশাপাশি আরো জানবো, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো করার আপডেট সব তথ্য।

ডিজিটাল মার্কেটিং হল সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং পিপিসি বিজ্ঞাপনের মতো এক বা একাধিক মার্কেটিং চ্যানেল (মাধ্যম) ব্যবহার করে ইন্টারনেটে পণ্য বা পরিষেবাদি প্রচার ও বিক্রয় করার প্রক্রিয়া।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ডে আগ্রহী ক্রেতাদের সন্ধান করতে পারেন, তাদের সাথে আলাপচারিতা করতে এবং গ্রাহক হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রচলিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদাহরণ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, পিপিসি মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেল মার্কেটিং।

 

বর্তমানে বিশ্বের নামীদামি সব সংস্থা তাদের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। কারণ, একমুখী বিজ্ঞাপনের পুরাতন পদ্ধতিগুলো এখন আর কাজ করে না। যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করে অনলাইন গ্রাহকদের সাথে দ্বি-মুখী যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। কেননা এখনকার সময়ে ক্রেতাদের বড় একটি অংশই অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে আসে।

আপনি যদি মনে করেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোর মতো একটি অপরিহার্য কাজ নয়, তাহলে তা অবশ্যই আপনার ব্যবসার জন্য ক্ষতিকারক হবে। আপনি যখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, পোস্ট, শেয়ার বা মন্তব্য করছেন, তখনই আপনি নিজেকে মার্কেটিং করছেন এবং অনলাইনে আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করছেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত কোন কাজ ইমেলের মাধ্যমে প্রচার করেন, কিংবা কোন অনলাইন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছে জমা দেন, তাহলে ধরে নিন সক্রিয়ভাবে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত।

কীভাবে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া যায়, তা শিখে এর জ্ঞান আপনি ব্যক্তিগতভাবে অথবা পেশাগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই দক্ষতাগুলো আপনাকে আপনার ব্যবসার প্রচারণা বৃদ্ধিতে আরো সাহায্য করবে। পাশাপাশি বেশি বেশি সেল জেনারেট করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।